মা জননী বললেন- স্বাধীনতায় গর্বিত হও বাবা
দৃঢ়চিত্তে বললাম
মা আমিই তোমার গর্বিত স্বাধীন বাংলাদেশ।
জননী হাসলেন, হয়তো খানিকটা প্রশ্রয়ের
দোয়া করি বাবা তুমি যেন ঠিক তাই হও
তোমাদের যোগ্য হাতে রেখে যেতে চাই
আমার মুক্ত স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ।
বললাম হেসে, তুমিতো জানো না মা
এই আমিও এক গভীর প্রণয়ে আসক্ত …
অবাক হয়ে আমার অবয়বে চাইলেন জননী…..
মৃদু হেসে আমি বললাম –
জননী জন্মভূমি আমার আজন্ম প্রেম
এই পৃথিবীর কোন ঐশ্বর্যের বিনিময়ে
কিনতে পারবে না কেউ এই অবিনাশী ধারা।
মায়ের দু’চোখে অশ্রু, আনন্দাশ্রু হয়তো;
মায়ের অতীন্দ্রিয় হাত আমার মাথায়
কপোলে চুমিয়ে গেলেন এবার পরম মমতায়।
উজ্জ্বল দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন মা –
তা’হলে এবার আমি খানিকটা ঘুমোতে যাই বাবা
হিংস্র শ্বাপদ শকুন ওঁৎ পেতে আছে
তাইতো এতদিন আমি ঘুমোতে পারিনি শঙ্কায় ।
বুঝলাম আজ আর ভয় নেই
আমার কোটি কোটি গর্বিত সন্তান দাঁড়িয়ে আছে
মায়ের স্বাধীনতার ইজ্জত আব্রু সুরক্ষায়।
মায়ের পায়ে চুমিয়ে গেলাম আমি ইন্দ্রিয় সত্ত্বায়
তোমার গর্বিত বাংলাদেশ জেগে রবে মা
কাল থেকে মহাকালতক
তোমার স্বাধীনতার অহংকার সুরক্ষায়।
কাব্যগ্রন্থ- আরণ্যক নদী ও মাতাল হাওয়া