
রক্তের দাম দিয়ে কেনা একটি সকাল,
২৬ মার্চের ভোর আসে আগুনরাঙা আলোয়।
পথের ধুলোয় লেগে থাকে স্মৃতির ছাপ,
নীরব গাছপালার পাতায় বাজে কান্নার সুর।
সেই রাতে বাতাস ছিল থমথমে,
আকাশে চাঁদও কেঁদেছিল নীরবে,
পাহাড়, নদী, মাঠ—সব ছিল স্তব্ধ,
শুধু নিঃশব্দে বয়ে গেছে মৃত্যু-তরী।
বাড়ির উঠোনে ছড়িয়ে ছিল ছিন্ন স্বপ্ন,
মায়ের আঁচলে লেগে ছিল সন্তানের রক্ত,
পৃথিবী দেখেছিল নিষ্পাপ মুখ,
যারা আর কখনো ঘুম ভাঙাবে না।
নদীর জলে মিশেছিল অশ্রু,
হাজারো গৃহহারা মানুষের দীর্ঘশ্বাস,
পাহাড়ের বুক কেঁপে উঠেছিল,
গ্রামের কুঁড়ে ঘর জ্বলেছিল রাতভর।
তবু থামেনি সময়ের চাকা,
প্রতিটি কান্নার ফোঁটার মাঝে ছিল প্রতিজ্ঞা,
একটি নতুন সূর্যের অপেক্ষা,
একটি স্বাধীন মাটির আকাঙ্ক্ষা।
আজ সেই সকাল,
যে সকালে মুক্ত বাতাস বইছে,
যে সকালে শস্যফুলে ভরে যায় মাঠ,
যে সকালে শিশুদের হাসিতে মিশে থাকে আশা।
কিন্তু ভুলি কী আমরা তাদের কথা?
যারা শুয়ে আছে নিঃশব্দ কবরে,
যাদের ত্যাগে উজ্জ্বল এই দিন,
যাদের বেদনায় জন্ম এ স্বাধীনতা?
২৬ মার্চ শুধুই একটি তারিখ নয়,
এ এক যন্ত্রণার সাক্ষী,
এ এক নবজন্মের গল্প,
যা বয়ে চলবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।