রোজার শেষ ভাগে
ভুগছে সবে, ঈদের জ্বরে।
মন তাই রয় না ঘরে।
কেনাকাটার তরে,
শত-শত দোকান ঘুরে।
সকাল থেকে শুরু করে
রাত ১২টার পরে
হেলে-দুলে, ফিরে ঘরে।
হাসি মুখে, বেজায় সুখে।
কেউ আবার কষ্ট বুকে।
পছন্দের পণ্য
কম বাজেটের জন্য
কিনতে না পেরে
কান্না করে মনের দুখে।
পুরুষ মরে,
মরুর বুকে, দুখে দুখে,
সংসারের সুখের তরে,
নতুন পোশাক নাহি পরে।
বউ তার শপিংমলে
হাজার হাজার পুরুষের ঢলে।
এদোকান ওদোকান করে
খুঁজতে খুঁজতে সূর্য ডুলে
অস্তাচলে।
নামাজ রোযা গেছে চলে।
দোকানীর সাথে ইফতার করে।
নামাজ হবে ঈদের পরে।
এখন শুধু শপিং করে।
পাঁচশত এর পণ্য
পাঁচ হাজারে কিনেই ধন্য।
বুক ফুলিয়ে ফিরে ঘরে।
আমায় ঠকায় !
আছে কোনো বাপের ছেলে ?
ঘুমের ঘরে, হিসেব করে।
জিতছে সে, বেজায় করে।
রইলো কিছু মনের ভুলে ?
কখন যে রাত পোহাবে?
আবার যে যেতে হবে।
আবার ঈদের আগে
মেয়ের বাড়ি, নতুন পোশাক,
সেমাই, চিনি
বাবার চোখে ঝরে পানি।
না দিলে আড়ং
জামাই এড়মং এড়মং।
কন্যার জামাই
ঈদে তার আইফোন চাই।
কন্যার বাপের ঘুম নাই।
কিডনি বেঁচে দিলো তাই।
এমন ঈদ কেন চাই ?
ঈদ হলো রোযাদারের
প্রতিদান মহারাজের।
সারা মাস রোযা রেখে,
খুশি মনে গিয়ে, ঈদের মাঠে
প্রভুর প্রতিদানের আশে,
তুলি দুইহাত,করি মোনাজাত।
দয়াময় ক্ষমাশীল
দিবেন যে নাজাত।