1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
পুটি মাছ কাটা নিয়ে বিবাদ, স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর: এলাকায় শোকের ছায়া মনোহরগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে নারীসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক মনোহরগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান ভূষ্মীভূত মনোহরগঞ্জে জামায়াতের প্রীতি সমাবেশ ডেটলাইনের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন দেন: জামায়াতের সেক্রেটারি শতরূপা ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা সহায়তা পেলো, মাদারীপুরের নাছিমা আক্তার। তৃণমূল থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি, কর্মীদের প্রত্যক্ষভোটে হচ্ছে কমিটি গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্থার ও বিচার কার্যক্রম শেষে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবেঃ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার শতরূপা ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা সহায়তা পেলো,ময়মনসিংহের সিদরাতুল মুনতাহা চ্যাম্পিয়ন মির্জাপুর স্পোর্টিং ক্লাব।

সংষ্কার না হওয়ায় সড়কে সড়কে মরণফাঁদ ঈদে নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কিত মনোহরগঞ্জের যাত্রী সাধারণ

আবু ইউসুফ মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

আবু ইউসুফ মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা:
আর কয়দিন পরেই ঈদুল ফিতর, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরবে শহরে থাকা কয়েক কোটি মানুষ। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনে নিরাপদে বাড়ি ফেরা আর আনন্দ ভাগাভাগি নিয়ে শঙ্কায় আছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। ২৪ এর ভয়াবহ বন্যায় সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে উপজেলার বিভিন্ন সড়কগুলো। দীর্ঘদিন সংষ্কার না হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে যানবাহন এবং যাত্রীদের জন্য মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। তাই ঈদ যাত্রায় নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চালক ও সাধারণ মানুষ।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কগুলো ২০২৪ সালের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে সড়কগুলো যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। উপজেলার অধিকাংশ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ। এতে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও সংষ্কারের জোরালো উদ্যোগ নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

উপজেলার এসব সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার ছোট বড় যানবাহন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মনোহরগঞ্জ বাজার থেকে আশিরপাড় বাজার পর্যন্ত স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত রয়েছে।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি। চলাচলে অযোগ্য সড়কটি নিয়ে মনোহরগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহরিয়া ইসলাম ও উপজেলা প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হলে সম্প্রতি সড়কটি সংষ্কারের কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। সংষ্কার শুরু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে যাত্রী ও পরিবহন চালকরা বলেন সংষ্কার যেন দ্রুত শেষ করা হয়। মনোহরগঞ্জ আশিরপাড় সড়কটি সংষ্কার শুরু হলেও উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে নাভিশ্বাস যাত্রী সাধারণের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় গোয়ালিয়ারা রাস্তার মাথা থেকে মৈশাতুয়া বাজার হয়ে আমতলী বাজার পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা খুবই ভয়াবহ। সড়কে চলতে গিয়ে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে। মনোহরগঞ্জ থেকে কাশিপুর হয়ে লক্ষণপুর, পোমগাঁও থেকে নরহরিপুর হয়ে শান্তির বাজার, আলীনকিপুর থেকে বাদুয়াড়া হয়ে তালতলা নরপাইয়া, কেয়ারি মোড় থেকে বাইশাগাঁও বাজার, বাইশগাঁও থেকে কোম্পানিবাজার, কেয়ারি থেকে মড়হ হয়ে লক্ষণপুর, নাথেরপেটুয়া থেকে জোড়পাইয়া, উত্তর হাওলা থেকে শিংজোড় পর্যন্ত সড়কের পিচ উঠে গিয়ে অবস্থা বেহাল। বন্যা পরবর্তী সময়ে এসব আঞ্চলিক সড়ক সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতে গর্তে পানি জমে যায়। সড়কের উপরের পিচ উঠে অনেক জায়গায় জমে ১ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত কাদা ও বালি। এসব জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও স্থানীয়রা।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা বলেন, ‘সড়কের যে বেহাল দশা, তাতে চলাচল করা খুবই কষ্ট। গাড়ির অবস্থাও খারাপ হয়ে যায়, দুর্ঘটনার আশংকাতো আছেই। তবু পেটের দায়ে গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়।’
আমির আলী নামে অটো চালক বলেন, এসব সড়ক দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লাগার কারণে যাত্রীদের কথা শুনতে হয়। তাছাড়া খানাখন্দের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যাত্রীরাও চরম ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়।’
পথচারী ও গাড়িচালকরা জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের উন্নয়নের নামে লুটপাটের উৎসবে সড়কগুলো নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার এবং স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গিয়ে পিচ উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। বন্যাপরবর্তী সময়ে যাত্রী সাধারণের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না গাড়ি আর যাত্রী সাধারণ। শিগগিরই সড়কগুলো মেরামত করা না হলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া উপজেলার শান্তির বাজার থেকে মুদাফরগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিমি সিএন্ডবি সড়কের অবস্থা আরো ভয়াবহ। লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এই সড়ক। এছাড়াও সড়কটির কিছু অংশ বরুড়া ও চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায় পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সড়কটির প্রায় পুরোটায় অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে ভরপুর। ফলে এ পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।সড়কটি দিয়ে চাঁদপুর ও মনোহরগঞ্জের মানুষ ঢাকা, চাঁদপুর, চাটখিল, রামগঞ্জ ও সোনাপুর যাতায়াতের অন্যতম একমাত্র মাধ্যম থাকায় বেশ কয়েকটি কোম্পানির বাস চলাচল করতো, কিন্তু বর্তমানে আয়েশা পাসপোর্ট ছাড়া আর কোন কোম্পানির বাস চলাচল করছে না।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটির বিভিন্ন স্থান ভাঙাচোরা। গত বছরের স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় লাকসাম -মনোহরগঞ্জসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়। বন্যার স্রোত বয়েছে সড়কটির ওপর দিয়ে। বর্তমানে ১৪ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ স্থানেই বন্যার স্পষ্ট ক্ষত। দ্রুত এটি সংস্কার না করা হলে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া এসব খানাখন্দ আর গর্তের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সড়কগুলো সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান ভুক্তভোগী জনসাধারণ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট