বেদনার বাঁশি বাজে ক্ষণে ক্ষণে।
তবুও যেনো কিছু প্রাপ্তির আশায়, শরতের শঙ্খ চিল হেরে যায় ঘন কুয়াশায়।
দুচোখে নেমে আসে বর্ষা
বিদায় মৌসুমের অথৈজল, শুকনো পাতা আজ আর বাজে না ফাল্গুনের আহ্বানে।
কালো নীলিমায় জড়িয়ে থাকে গহীন রাত্রি, তীব্র কষ্টের যন্ত্রণা বয়ে চলে আমার ধরিত্রী।
এ যেনো ফিরে আসা প্রতি মুহূর্তে অতিথি পাখির আমন্ত্রণ,
শৈশবের অতৃপ্ত সুপ্ত বাসনার চিরন্তন অপেক্ষমাণ।
কৈশোরে দাড়িয়ে স্মৃতির পাতা উল্টে দেখি বেদনার নীল দিগন্তে,
এপাড় থেকে শুরু হয়েছে ওপারের তীর খোঁজার গন্তব্য।
যেখানে নেই সীমানা নেই প্রাচীর ,
ঘিরেছে চারিদিকে কেবল হতাশা সীমাহীন।
ব্যর্থতার অনলে আর দহনে নিশ্চিহ্ন আশার বসতি,
জানা নেই মৃত্যুই কি এর চির সমাপ্তি।
বেলাভূমিতে অদ্ভুত দর্শন অসমাপ্ত বালু চর,
চোরা বালুতে আটকে পরেছে জীবনের পদচারণা।
চোখের জলে গড়াগড়ি খাওয়ার রুচি থাকনা পরে,
হয়তো আবার হবে দেখা এপথে জীবনের পাশ ধরে যেতে যেতে।
থেমে আশা পথে , খুশির রঙ ছড়িয়ে আছে কালো মেঘের আত্মচিৎকার।
অস্থির তোলপাড় করে বয়ে চলে তীব্র কাটার নিয়ম, অনুসৃত পথটি
বেছে নিয়েছেন সাংসদ যেখানে পৌঁছায়নি পশ্চিম দিগন্তে রঙধনু আবিরের স্মৃতি ।
সেকালের শিকার হয়েছিলে, সেই সমাহার মুক্ত বিহীন পাখিদের নীড়ে ফেরার সুযোগ খোঁজা।
আজও বাজে বুকের গহীন ধুলো ময়লার ডামাডোল, সাময়িকভাবে আপ্লুত হৃদয় ভাঙার
গান শুনতে শুনতে রচিত হয়েছে কত-শত সমাদী।
গচ্ছিত রতন করিয়া যতন,
এ কেমন খেলা আজও সেই কাঁচের টুকরো ক্ষত বিক্ষত করে।
কুড়িয়ে এনেছিলাম শঙ্খ ভান্ডারে উম্মুক্ত প্রবেশের ছাড়পত্র,
সভ্যতা সংস্কৃতির প্রভাবে মুছে দিলাম সকল স্মৃতি চিহ্ন।
আঁধার কেটে গেলো কোথায় হারলো তবুও অপেক্ষায় কাটাই প্রহর,
রোদবৃষ্টি শীত বসন্ত পেড়িয়ে গেলো আজও এলেনা হারানো বীণার সে সুর।
দূর থেকে বহু দুর পেড়িয়ে সমুদ্দুর অজানার শূন্যতা, আর পথ চলা জীবন থেকে শুরু হয়েছে ওপারের ডাক।
মিলিয়ে জীবনের খাতা রয়েছে যন্ত্রণার কাটাঁ,
আজও ক্ষতবিক্ষত করে আমায় ।
ফেরায়নী শূন্য হাতে পেয়েছি অনেক তাতেই পরিপূর্ণ জলের সিন্ধু।