
সবুজে ঘেরা শান্তি নীড়, সে যে আমার গ্রাম,
নদীর জলে ছল ছলিয়ে বাজে সুরের গান।
শর্ষে খেতে দোলে হাওয়া মিষ্টি সোনার গন্ধ,
পাখির গানে ভোরের বেলা মন হয় আনন্দ।
নদীর ধারে বটের ছায়া, মাটির পথের বাঁক,
তালগাছগুলো দুলছে যত দখিন হাওয়ার ঢাক।
গোধূলিবেলায় গরুর পাল ফেরে মাঠের পথে,
শিশুরা সব খেলতে আসে মায়ের ডাকে তাতে।
চাঁদের আলো জোছনা ছড়ায় শস্যের গায়ে গায়ে,
সবুজ ঘাসের শিশিরবিন্দু জড়িয়ে ধরে পায়ে।
ওহে নগর, ব্যস্ত শহর, ব্যথার ভারে ক্লান্ত,
গ্রামের কোলে শান্তি মেলে, হৃদয় থাকে শান্ত।
শীতের হাওয়ায় মাখা সোনালি আলোর ছোঁয়া,
শর্ষে ফুলের খেতে খেলে রোদ ঝলমলানো সুর।
দিগন্ত জুড়ে হলুদ রঙের নরম শাড়ির ঢেউ,
হাসির কণ্ঠে দোলে বাতাস, ছুঁয়ে যায় মনপুর।
শিশির ভেজা ঘাসের বুকেও রোদ লুটোপুটি,
কুয়াশা ফুঁড়ে ওঠে রবি, গায় সকাল জাগরণ।
ভ্রমরের ডানায় বাজে মধুর গুঞ্জরিত গান,
মৌমাছিরা মেতে ওঠে মধু-সুরভি পান।
নরম রোদের আদর মেখে কৃষকের হাসি খেলে,
সোনার ফসলে ভরে উঠবে দেখো চোখ টি তুলে।
শর্ষে ফুলের সুবাস মাখা শীতের এই গান,
ফুলে-ফুলে জেগে থাকে প্রিয় বাংলার প্রাণ।