
তোমাতে আমাতে দেখা কোন এক মায়াবী সন্ধ্যায়,
আলো আধারিতে তুমি আসলে মন যেন চিনে নিল ইশারায়।
হাতে শাখা সিথায় সিঁদুর মুখে ছিল অনাবিল হাসি,
সেই শুভক্ষণে চেয়ে তোমার পানে এ মন হল যেন উদাসী।
সেই মনে পড়ে তুমি চেয়ে ছিলে আমার তৃষ্ণিত চোখের পানে,
আমি বনের হরিনের মত বৃদ্ধ হলাম তোমার মায়াবী আঁখির বাণে।
আবার করে দেখা হবে তুমি শুধালে আমাকে মুচকি হেসে,
আমি বল্লাম তুমি যদি চাও দেখা হবে মধুময় স্বপ্নের দেশে।
সেই থেকে মনে হয় প্রত্যিটি প্রহর আমার কাছে মধুময়,
তোমার প্রেমে তোমার খেয়ালে মগ্ন হল আমার এ হৃদয়।
তোমার চুলের সেই গন্ধ এখনও বাতাসে বয়ে আনে,
তোমার সেই মধুময় কণ্ঠের ধ্বনি এখনও বাজে আমার কানে।
ভোলা কি যায় বল তোমার ঐ মায়াবী সজল দুটি আঁখি,
কল্পনার চোখ দিয়ে বিস্মিত মনে আমি আজও চেয়ে থাকি।
ক্ষণিকের তরে হয়তো চলে গেছ আমার ছেড়ে একট দূরে,
জানেনা সেই কথা কেহ তুমি তো রয়েছো হৃদয় জুড়ে।
দিবালোকে নাই বা যদি পাই ক্ষতি নাই তাতে কিছু আর,
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেশে তুমি যে গো শুধুই আমার।
তুমি হয়তো জাননা তোমাকে শুনাবো সেই কথা,
জানতে যদি তুমি মানতে তবে এই বুকে আছে কত ব্যথা।
অনেক সাধনায় এই দুটি চোখ শুভক্ষণে পেল যে তোমায়,
দোহাই তোমার প্রিয়তমা যেওনা গো তাকে কাঁদায়।
নাই বা যদি হও জীবন সাথী ওগো মোর নিঠুর দরদিয়া,
তোমার প্রতিমায় করিবে পূঁজা আমার অবুঝ এই হিয়া।।