প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১২:২১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৭, ২০২৪, ১২:৫৩ পি.এম
হয়তো আর দেখা হবে না এই বিশ্বের প্রলয়ের পরে,
যখন পৃথিবীর সমস্ত আয়োজন থেমে যাবে,
বাতাস আর বইবে না কোনো দিক থেকে।
সমুদ্রেরা শুকিয়ে যাবে ক্রমাগত,
আর আকাশে ঝুলবে কেবল মৃত নক্ষত্র।
তুমি হয়তো তখন একটি নিঃসঙ্গ গ্রহে বসে
তোমার হারানো দিনগুলো খুঁজে ফিরবে,
যেখানে কোনো স্মৃতি নেই,
নেই কোনো চিহ্ন, শুধু এক শূন্যতা।
তুমি হাত বাড়াবে, কিছু ধরতে চাওয়ার জন্য,
কিন্তু কিছুই থাকবে না ছোঁয়ার মতো।
আমাদের দেখা হবে না আর কোনোদিন,
সেই পথে, যেখানে কচুরিপানার ফুল ভেসে থাকে।
সেখানে কোনো পাখি উড়ে যাবে না,
কোনো শিশিরের ঝরে পড়া শব্দ শোনা যাবে না।
তুমি হয়তো তখনো
তোমার হারিয়ে যাওয়া গল্পগুলো লিখবে,
কিন্তু শব্দগুলো আর জমে উঠবে না।
এই পৃথিবী তখন কেবল মৃত্তিকার স্তূপে পড়ে রবে,
যেখানে আমরা একদিন দাঁড়িয়েছিলাম—
একটি কবিতার জন্ম দিতে।
পৃথিবী হয়তো ভুলে যাবে আমাদের মুখগুলো,
কিন্তু বাতাস বয়ে নেবে আমাদের শূন্যতা।
তুমি হয়তো তখনো তাকিয়ে থাকবে
একটি শুকনো গাছের দিকে,
যার ছায়া নেই,
শুধু এক বেদনাময় স্তব্ধতা।
আমি শুনব সেই স্তব্ধতার সুর,
যেন তা কোনো এক দীর্ঘশ্বাসের মতো।
হয়তো আর দেখা হবে না,
তুমি বলবে না কোনো কথা,
আমি শুনব না কোনো বিরহেরী কথা।
তোমার চোখের দৃষ্টি হারিয়ে যাবে,
অন্ধকার কোনো দিগন্তে,
তোমার স্মৃতি থাকবে কেবল একটি শূন্য কবিতায়।
তুমি আর আমি হারিয়ে যাব
একটি অনন্ত নৈঃশব্দ্যের ভেতরে,
যেখানে কোনোদিন সূর্য উঠবে না।
সেখানে আমরা আর কখনো হাত ধরব না,
কখনো স্পর্শ করব না একে অপরকে।
এই বিশ্বের প্রলয়ের পরে,
তুমি হয়তো কেবল একটি নাম হয়ে থাকবে,
আর আমি কেবল একটি ছায়া।
তবু কোথাও, কোনো নক্ষত্রের পেছনে,
আমাদের গল্প বেঁচে থাকবে—
অস্পষ্ট, অথচ চিরকালীন।