
বইছে উত্তরের হিম হিম শীতল হাওয়া,
শীতের আগমন জানান দেওয়া।
প্রতি বছর অগ্রহায়নে তার আগমন হওয়া,
মাঘের শেষ ফাগুনের মাঝামাঝিও যায় পাওয়া।
শিশিরস্নাত লিকলিকে লাউয়ের ডগায় সাদা সাদা ফুল,
মনে হয় যেন দষ্যিবালিকার কানের দুল!
রসিক শীতের জামা না পরে করে ভুল,
কাঁপতে-কাঁপতে হারায় একুল ওকুল!
চারিদিকে দেখা যায় ফোকলা দাঁতের খেজুর গাছের হাসি,
খেজুরের রসের পায়েস কে না ভালোবাসি?
ঘরে ঘরে তৈরি হয় নানা রকম পিঠাপুলি আর পায়েস,
খায় সবাই মজা করে আর করিয়া আয়েস।
মিষ্টি রোদে বসে ভালো লাগে
গল্পের বই পড়া,
শিশুদল এসে, হেসে হেসে শুনাচ্ছে ছড়া।
মন্দ না একটু পরপর ধোয়া ওঠা রং চা কড়া।
শিশুর দল খড়কুটো জ্বেলে
ছেঁকে শরীর দু’বাহু মেলে।
ঝরারস গরম করে গিলে,
রাম, সাম, যদু ও মধু মিলে।
হাওর বাওরে ডানা ঝাপটিয়ে পড়ছে নানা রকম পাখি,
কি যে আনন্দ, দেখে তাহা দুটি আঁখি।
আনন্দে মেতেছে শিশুদল সোনা রোদ গায়ে মাখি।
চাঁদের আলো পদ্মপুকুরে করে ঝিকমিক
দূর্বাদলের উপর শিশিরবিন্দু হিরের মতো করে চিকচিক।
পাতা ঝরে গাছেরা শীতের আগমনী জানাচ্ছে ঠিকঠিক।