প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১১:৪৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ৬:৩৯ এ.এম
পঙ্গুত্ব বরণকারী যে কিশোর দেশপ্রেমে বিভোর
তার বগলে দিকশূন্য স্ক্র্যাচ, মুখে সোনালি হাসি
চব্বিশের বিপ্লবে, উৎসর্গ করেছে যে আস্থার এক পা
বিচলিত নয় সে, তুমুল সাহস তার বুকে ঠাসাঠাসি।
মিছিল গুলিবিদ্ধ! চারিদিকে বিক্ষুব্ধ চিৎকার
ছিল সে তারাই অগ্রভাগে, শেকল ভাঙার প্রচেষ্টাতে
জানতে চেয়েছে বারবার, স্বাধীনতা তুমি কার?
অনিশ্চিত যাত্রায় নয় কেউ দিশেহারা
চোখে মুখে পূর্ণিমার ঝকঝকে হাসি
অর্জন রক্ষায় দিতে হবে সম্মিলিত পাহারা।
সব স্লোগান শ্রেণিসংঘাতের নয়, কিছু কিছু সক্ষমতার
হারজিতের খেলা নয়, দাও সংবিধিবদ্ধ অধিকার।
যে স্লোগান বোঝে, কণ্ঠে কণ্ঠ মেলায়, সে-ই দেশপ্রেমিক
তার মুষ্টিবদ্ধ হাতে কৃত্রিম আলো নয়! জাগরণের সূর্যোদয়
সময় ঘোড়ার পিঠে, খোদাই করে বিষাক্ত চোখ
মস্তিষ্কে মস্তিষ্কে দ্রোহের নিউরন, পুনর্গঠনের বোধোদয়।
.
তরুণ প্রাণ যাবে এগিয়ে, দাও খুলে বাঁধ।
মুখে তালা এঁটে, যে প্রবীণ লুকায় আড়ালে মুখ
দেখাও তাকে পথ তীর্থ যাত্রার; নিক মৃত্যুর স্বাদ
নতুনকে দাও স্থান, সে শান্তির বাহক ও ধারক
ঘৃণিত চিন্তার অবসান হোক। ভরে উঠুক আনন্দলোক।
রক্তের তুলিতে লিখেছে আবারও 'স্বাধীনতা'
এ যে জন্মসূত্রে পাওয়া নাগরিক অধিকার
ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে যে, সে কোনো বীর নয়
সে-ই রূপকার! যার প্রতিটি পদক্ষেপে রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার।