কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত জুলাই আগস্ট মাসে ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। আপনারা ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থান দেখেছেন কিন্তু শ্রমিকদের গণঅভ্যুত্থান দেখেননি। তারা সমস্ত শোষকের বারোটা বাজিয়ে দেবে। পাড়ায় পাড়ায় কমিটি বানান, শ্রমিকদের সংগঠন গড়ে তোলেন। রিকশা ড্রাইভার, গার্মেন্টস শ্রমিক ও খেত মজুররা অর্থাৎ যারা মেহনত করে খায় তাদের সবার কাছে খবর পৌঁছায় দেন। এর সরকার, তার সরকার, ওর সরকার কত সরকার দেখেছি-আগামী দিনে ইনশাল্লাহ গরীব মানুষের সরকার হবে। ডিসি, এসপি, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, মিলিটারি অফিসার, জোয়ান, পুলিশ বাহিনী সবাই হবে এই সংগ্রামের সৈনিক। তাদের ভেতর থেকেই আমরা এই রাষ্ট্রকে গড়ে তুলবো। কেউ খাবে আর কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না। রিকশা চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হাইকোর্টের খবরা-খবর আপনারা শুনেছেন। শুধু আমি একটা কথা বলবো, বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এটা করা হলে সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বলে উঠবে। আপনারা লড়াই করতে থাকেন। আইনসিদ্ধভাবে আমরা লড়াই করছি। এই লড়াই এগিয়ে নিয়ে ইনশাল্লাহ আমরা আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনবো। ছাত্র সমাজকে উদ্দেশ্য করে সিপিবির সাবেক সভাপতি বলেন, ‘আমি ডাকসুর ভিপি ছিলাম। আপনারা কেউ রিকশা চালকদের সঙ্গে বেয়াদবি করবেন না। আপনার বাবার বয়সী রিকশা চালককে তুই তোকারি করে কথা বলা চলবে না। মেহনতি মানুষকে মর্যাদা দিতে শেখেন। যারা পরিশ্রম করে দেশ গড়ে তুলেছে, তাদের সম্মান জানান। ভুলে যাবেন না এই গণঅভ্যুত্থান একজন লোকের তৈরি না। এটা হলো সমস্ত ছাত্রের জনতার গণঅভ্যুত্থান। সেখানে রিকশাওয়ালার রক্ত আছে, গার্মেন্টস শ্রমিকের রক্ত আছে। বৈষম্য বিরোধীর কথা বলে মধ্যবিত্তের রাজত্ব কায়েম করলে বৈষম দূর হবে না। আপনাদের কথায় ও কাজের মিল আছে কিনা, তার প্রমাণ আমরা দেখতে চাই। কোনো ছাত্র যদি রিকশাওয়ালার প্রতি অবিচার করে, যেভাবে আমরা হাসিনার গুন্ডাবাহিনীকে নিবৃত করেছি, একইভাবে তাদেরও আমরা নিবৃত রাখার জন্য আপ্রাণ ব্যবস্থা করব।