টঙ্গীতে যৌথবাহিনীর পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য, নগদ টাকা, মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ও পতিতাবৃত্তির অপরাধে শতাধিক নারী-পুরুষকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোডের আমতলী এলাকার টঙ্গীর কেরানিটেক বস্তি ও জাভান হোটেলে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বস্তির কয়েকটি ঘর থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ, ১০ কেজি গাঁজা, ২ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা, ২০ বোতল দেশিয় মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, দেশীয় অস্ত্র ও নগদ ২২ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করাসহ ৭৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনীর আশকোনা ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ বস্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ছাড়াও অভিযানে র্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সদস্যরা ছিলেন। আটককৃতদের সোমবার সকালে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা শেষে আদালতে পাঠানো হবে। অপরদিকে টঙ্গীর জাভান হোটেলে রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল দশটা পর্যন্ত চলা যৌথবাহিনীর পৃথক অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন রাজধানী উত্তরা দিয়াবাড়ি সেনা ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্নেল মো. তাহসিন। এসময় হোটেলে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৪৯৪ ক্যানের বোতল, ৫৯৮ বোতল বিয়ারের বোতলসহ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এ সময় পতিতাবৃত্তির অপরাধে ২৭ জন নারী ও ৫৬ জন পুরুষ এবং হোটেল পরিচালনায় নিয়োজিত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে রাতে অভিযান চলাকালে হোটেল ম্যানেজার মিজানুর রহমান খান ওরফে মিল্টন (৫২) নামে এক ব্যক্তি পালাতে গিয়ে হোটেলের তিন তলা থেকে লাফ দিলে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহটি উদ্ধার করে। মিল্টনের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার, সদর থানায় বলে পুলিশ জানায়। লে. কর্নেল মো. তাহসিন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, জাভান হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগ ছিল। অভিযান চালিয়ে বিয়ার ও মদ জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নারী-পুরুষ ও হোটেল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।