মামুন বিন হারুন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আজ ৭ই অক্টোবর ২০২৪ (সোমবার) সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ভারতে মহানবী স. কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতে রাসুল সা. কে নিয়ে অবমাননা থামছেই না। মাস খানেক পূর্বে “রামগিরি মহারাজ” রাসুল ﷺ কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। তাকে সাপোর্ট দিয়েছে বিজিপি সাংসদ নিতিশ নারায়ন রানে।
মুসলিম জনতা তার প্রতিবাদ করার কারণে বিজিপির প্রাক্তন মুখপাত্র “নরসিংহানন্দ” আবারও আমাদের পেয়ারে হাবিব রাসুল ﷺ কে নিয়ে কটুক্তি করেছে। তাকে ধর্ষক, ডাকাত এবং সকল অশান্তির মূল বলে অবমাননা করেছে। এমনকি রাসুল ﷺ এর মূর্তি বানিয়ে পোড়ানোর হুমকিও দিয়েছে।
এত জঘন্য কটুক্তির পরেও যখন ভারত সরকার তামাশা দেখেছে এবং এসব অপকর্মের মৌন সমর্থন দিচ্ছে তখন মুসলমানরা পুনরায় “নরসিংহানন্দ” এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।
কিন্তু এই প্রতিবাদ হতে না হতেই গত কাল/পরশু “নরসিংহানন্দ” এর পক্ষাবলম্বন করে তিনজন হিন্দু ধর্মগুরু রাসুল সা. এবং আলী রা. এর ব্যাঙ্গাত্মক মূর্তি বানিয়েছে।
এমনকি মুসলমানরা যদি “নরসিংহানন্দ” এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা না থামায় তাহলে তারা এই মূর্তি পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এসব কুলাঙ্গারদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানাই।
এ সময় তারা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন চত্বর থেকে জামতলা মোড় হয়ে পৌরসভা কার্যালয়ের দিকে যান।
পৌরসভা কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এই বিক্ষোভ মিছিলে গফরগাঁও উপজেলার সকল শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকলেও গফরগাঁও জে এম কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হতে পারেননি। এ বিষয়ে তাঁদের সাথে কথা বললে জানা যায় যে‚ জে এম মাদরাসার আব্দুল বাতেন স্যার শিক্ষার্থীদেরকে বিক্ষোভ মিছিলে যাওয়ার অনুমতি দিলেও সুব্রত স্যার শিক্ষার্থীদেরকে নাবী ﷺ কে নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে যেতে বাধা প্রদান করেছেন।
এছাড়াও উক্ত মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মুফতি ইমরান হোসাইন আজাদ, মুফতি ইসমাইল হোসাইন, মোফাজ্জল আনসারী, আশরাফ আলী ফারুকী, ফারহান ফরিদ, সম্রাট বিন সুরুজ, হামিম হাসান নিরব, মিফতাহুল ইসলাম মিনয়, সিফাত হাসান, সাজিদ মাহমুদ তনিম, মুশফিকুর রহমান, আলিফ, মাহিন,মিয়াদ, সামিউল মির্জা আরিফ, কবির হোসেনসহ অনেকে। বাংলা বুকডেমির সদস্য কবি শরিফ বিন জামাল অজ্ঞতাজনিত কারণে উপস্থিত হতে পারেননি।