শাহাদাত হোসেন: বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসকে হার মানিয়েছে এ বারের বন্যা। বন্যার এ রকম ভয়াবহতা মনোহরগঞ্জে এর আগে কখনো দেখেনি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মনোহরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলো । এ ছাড়াও কুমিল্লার ১৭ টি উপজেলার মধ্যে ১৪ টি উপজেলার সবকটি এলাকা প্লাবিত হয়। দুর্বিসহ হয়ে পড়ে এসব অঞ্চলের মানুষের জীবনযাপন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। এক উপজেলার সঙ্গে অন্য উপজেলার যোগাযোগের সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। বানভাসিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র, স্কুল ও মসজিদ-মাদ্রাসায়। বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি তাদের খাদ্যসংকটও দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় মারা গেছে ২ জন জন। অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ২০ হাজার জনের মতো মানুষ । সংকট মোকাবিলায় বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন। এসময় রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন এর পরিচালক অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাও, ৩০০ এর অধিক মানুষকে ফ্রীতে চিকিৎসা সেবা ও ১২ শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করি আমরা।
মনোহরগঞ্জের অনেক এলাকা এখনো কোমর সমান পানি। যেখানে ত্রাণ এবং চিকিৎসা সেবা দেওয়া অনেক কষ্ট সাধ্য। আমরা আমাদের ফিল্ড অফিসারদের মাধ্যমে খবর নিয়ে সে সকল এলাকায় চিকিৎসা সেবা ফ্রী ঔষধ এবং ত্রাণ পৌছে দিচ্ছি। বন্যাদুর্গত এলাকায় নিজেদের কার্যক্রম তুলে ধরে রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম এফ পি আরও বলেন, আমরা বন্যাকবলিত মানুষের জন্য শুকনো খাবারের পাশাপাশি চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ সহ ফ্রীতে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করে আসছি। আমরা একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে এসব ত্রাণ সামগ্রী চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করেছি। বন্যার পানি কমতে শুরু করলে আমরা আবারও চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবো। এসময় উপস্থিত ছিলেন রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মনিশংকর দাশ, কুমিল্লা যোন, শম্ভুনাথ বিশ্বাস আঞ্চলিক শাখা ব্যবস্থাপক লাকসাম, সুমন হোসেন মনোহরগঞ্জ শাখা ব্যবস্থাপক, মড়হ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল হাই,সহ প্রমুখ।