পুরুষদের দাড়ি রাখতেই হবে। ক্ষমতা দখল করেই আফগানিস্তানে ফতোয়া জারি করেছিল তালেবান নেতৃত্ব। তা না মানায় চাকরি খোয়ালেন ২৮০ জন সেনাকর্মী। এছাড়াও মোট ১৩ হাজার জনকে ‘অনৈতিক আচরণের’ দায়ে আটক করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের নৈতিকতা মন্ত্রালয়ের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে ‘অনৈতিক আচরণে’র দোষে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আবার পরিকল্পনা ও আইন পরিচালক মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে গত এক বছরে ২১ হাজার ৩২৮টি বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। এইসঙ্গে কয়েক হাজার কম্পিউটার অপারেটরকে অনৈতিক সিনেমা ছড়ানোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। কারণ আফগান মৌলবাদী শাসকরা সঙ্গীত, বাদ্য, সিনেমার মতো বিনোদনকে অপসংস্কৃতি বলে মনে করে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরে নারী কল্যাণ মন্ত্রকের অবসান ঘটে। তার জায়গা নেয় নৈতিকতা মন্ত্রক।প্রথম থেকেই এই মন্ত্রকের কাজকর্মের সমালোচনা করে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাদের অভিযোগ, নৈতিকতার নামে নারীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষার অধিকার থেকেও আফগানিস্তানের মেয়েরা বঞ্চিত। তথ্য বলছে, ১.৪ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৪ লক্ষ মেয়েকে ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুলে যাওয়া থেকে বঞ্চিত করেছে তালেবান। জারি করেছে বিধিনিষেধ। ইউনেস্কোর মতে, আফগানিস্তানই বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে তালেবান নেতৃত্ব। তালেবানকে বিশ্বের কোনও দেশই কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি। যদিও ২০২৪ সালে তালেবান সরকারকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেয় চীন। সেদেশের প্রশাসনের মতে, বিশ্বের প্রত্যাশাগুলো পূরণে আফগানিস্তান সচেষ্ট হবে।
সূত্র: ডন