1. live@dailytrounkhota.com : news online : news online
  2. info@www.dailytrounkhota.com : দৈনিক তরুণ কথা :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পুটি মাছ কাটা নিয়ে বিবাদ, স্বামীর হাতে প্রাণ গেল স্ত্রীর: এলাকায় শোকের ছায়া মনোহরগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে নারীসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক মনোহরগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান ভূষ্মীভূত মনোহরগঞ্জে জামায়াতের প্রীতি সমাবেশ ডেটলাইনের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন দেন: জামায়াতের সেক্রেটারি শতরূপা ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা সহায়তা পেলো, মাদারীপুরের নাছিমা আক্তার। তৃণমূল থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি, কর্মীদের প্রত্যক্ষভোটে হচ্ছে কমিটি গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্থার ও বিচার কার্যক্রম শেষে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবেঃ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার শতরূপা ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা সহায়তা পেলো,ময়মনসিংহের সিদরাতুল মুনতাহা চ্যাম্পিয়ন মির্জাপুর স্পোর্টিং ক্লাব।

‘আমার কলিজাটারে মাথা ফুটা করে মারতে হইলো ক্যান’

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

আমার কুলে পুলাডা ছটফটাইয়া মইরা গেল, মাথায় গুলি কইরা আমার বাপজানরে ওরা মাইরা ফেলাইছে। বাঁচবার লাইগা আমার বাপজান আমার কাছে কতই না আকুতি করছে। কিন্তু আমি তো বাঁচাইতে পারলাম না। আমার পোলা তো কোনো রাজনীতি করতো না। তারপরেও আমার নিরপরাধ পুলাডারে এভাবে মাইরা ফেলাইলো। আল্লাহ এর বিচার করবো।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া গার্মেন্টস কর্মী আসিফের বাবা আমজাদ হোসেন কাঁদতে কাঁদতে কালবেলাকে কথাগুলো বলছিলেন।

আসিফ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের ছেলে। ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ২০ জুলাই সকালে তার মরদেহ শেরপুরে আনা হয় এবং দুপুরে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আমার কুলে পুলাডা ছটফটাইয়া মইরা গেল, মাথায় গুলি কইরা আমার বাপজানরে ওরা মাইরা ফেলাইছে। বাঁচবার লাইগা আমার বাপজান আমার কাছে কতই না আকুতি করছে। কিন্তু আমি তো বাঁচাইতে পারলাম না। আমার পোলা তো কোনো রাজনীতি করতো না। তারপরেও আমার নিরপরাধ পুলাডারে এভাবে মাইরা ফেলাইলো। আল্লাহ এর বিচার করবো।’

আসিফ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কেরেঙ্গাপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনের ছেলে। ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ২০ জুলাই সকালে তার মরদেহ শেরপুরে আনা হয় এবং দুপুরে সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

আসিফ বছর খানেক হয় মিরপুর এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ শুরু করার পর থেকে তার বাবার সঙ্গে মিরপুরে বসবাস করতো। বাবার দীর্ঘদিনের ব্যবসা থাকায় অনেক মানুষের সঙ্গে তাদের সখ্য ছিল। সেই সুবাদে তৈরি হয়েছিল বন্ধু-বান্ধব। তবে অল্প বেতনের চাকরি ছেড়ে আগামী মাস থেকে বাবার ঝুটের ব্যবসায় সাহায্য করার কথা ছিল তার। প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন আসিফ। কিন্তু তা আর হলো না। এই নিষ্ঠুর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আসিফের বাবা নিজেই।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আসিফের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ পইড়া বাসায় আসি। এরপর বাপ-পোলা মিইলা দুপুরের খাবার খাইয়া ঘুমাইয়া পড়ি। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পোলাডা কইলো এক বন্ধু ফোন দিছে তার সাথে দেখা করতে হবে। শুক্রবার বন্ধের দিন, তাই পুলারে মানা করি নাই। কেরা জানে আমার পুলা আর ফিইরা আইবো না। হঠাৎ সন্ধ্যা ছয়টায় দিকে পোলায় ফোন দিয়া কইলো ‘আব্বু আমি অ্যাক্সিডেন্ট করছি, তুমি তাড়াতাড়ি আসো’। আমি কোনমতো দৌঁড়াইয়া গিয়া দেখি মাথার ডান পাশে গুলি খাইয়া পুলাডা মিরপুরের আলোক হাসপাতালে পইড়া আছে। তহনও গোলাগুলি চলতেই আছে। রাস্তায় এডা রিকশাও নাই। যে কয়ডা আছে গুলির ভয়ে যাইবার চায় না। পরে বুঝাইয়া একটা রিকশা নিয়া সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই পুলাডারে। সেখানের ডাক্তারা মাথায় ব্যান্ডেজ কইরা রেফার কইরা দেয় নিউরোসাইন্স হাসপাতালে। রিকশায় কইরা যখন নিউরোসাইন্স এ যাইতাছি, তখন বাপে ব্যাথায় কাতরাইয়া কইতাছিল ‘আমার উপর থেকে দাবি ছাইড়া দিও আব্বা। আমি তোমার স্বপ্নপূরণ করবার পাইলাম না। আমি আর বাঁচবো না।’তখন আমার বুকটা ফাইটা যাইতেছিল। নিউরোসায়েন্সের ডাক্তাররা কইলো আমার বুকের ধন আর নাই, মইরা গেছে।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই পরিবারের খোঁজ নেওয়া হবে। পরিবারটির সহযোগিতায় আমরা পাশে থাকব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট