সাধ্য কার তাকে নামায়?
দীপ্ত পায়ে ফিরে এসেছে নূরুল উদ্দিন
ইতিহাসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে করছে চিৎকার
সময়ের বাঁকে গুলির শব্দ
‘জাগো বাহে কোনঠে সবায়’ উচ্চারণে রক্ত কেন?
এর জবাব চায় বাংলাদেশ।
হ্যাঁ দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ, পেতে দিয়েছিল বুক
যেমন করে দাঁড়িয়েছিল ক্ষুদিরাম, তিতুমীর
সূর্যসেন, প্রীতিলতাসহ অকুতোভয় সহস্র বীর।
সেদিন ছিল বিজাতীয়দের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র!
দাঁড়িয়ে ছিল সালাম বরকত রফিক জাব্বার
রক্তাক্ত বর্ণমালায় লিখেছিল ‘মা’
উড়ছিল আসাদের শার্ট
দাঁড়িয়ে ছিল রণাঙ্গনে আবারও বাংলাদেশ
ত্রিশলক্ষ রক্তনদী মিশেছিল লাল সবুজে।
দাঁড়িয়ে ছিল নব্বইয়ে আরেকবার
দেখিয়ে ছিল কী করে নামাতে হয় স্বৈরাচার।
আবু সাইদ বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল রাজপথে
পোষে ছিল ঝড়, মুখে অধিকারের প্রশ্ন
প্রথম বুলেটে কাঁপছিল দেহ!
কাপুরষ নয় তাই রুখে দাঁড়াল
শীর্ণ দেহ তখনও সোচ্চার! করতে হবে সংস্কার।
না, তার অনেক কাজ বাকি
চালিয়ে যেতে হবে আন্দোলন
টিউশনির বেতনটা উঠাতে হবে
দোকানের বাকিটা করতে হবে শোধ।
বাবার হাসি দেখার জন্য থাকতে হবে বেঁচে
দ্বিতীয় বুলেটে কি নিষ্পত্তি হলো সব?
ওপাশে বন্দুক হাতে উর্দি পরা এক ধূর্ত শেয়াল
নেকড়ের মতোই শক্ত চোয়াল।
পড়ে গেল আবু সাইদ ঢলে
পড়ে গেল বাংলাদেশ বাংলাদেশের কোলে।
কটা বাজে? মায়ের কাছে যাবে সে
মায়ের ধুলোবালি শুষে নিচ্ছে রক্ত
আচ্ছা, মায়ের বুক এতো ঠান্ডা কেন?
এর কোনো জবাব পেল না আবু সাইদ
শুধু বলে গেল ‘সংখ্যায় নয় মেধায় বিজয় নিশ্চিত হবে’
খসে পড়া পতাকার মতোই পড়ে রইল বিজয়ের পথে।