জানা গেছে, ওই সময় নিহত কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসার আহমেদ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত ছিলেন। হঠাৎ করে তারা দুজন নিজেদের মধ্যে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে কনস্টেবল কাউসার নিজের সঙ্গে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করেন মনিরুলকে। গুলির শব্দে ডিপ্লোমেটিক এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকে মনিরুলের লাশ। এ ছাড়া জাপান অ্যাম্বাসির সাজ্জাদ হোসেন শাহরুখ নামের একজন ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণকারী কনস্টেবলকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। প্রত্যক্ষদর্শী হাসান আহমেদ নামের একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে করে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। এতে তাদের চালক গাড়ির গতি থামাতেই পুলিশের একজন সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। তবে কী নিয়ে এমন ঘটনা, তা তাৎক্ষণিক বুঝতে পারেননি, ঘটনা জানারও পরিস্থিতি ছিল না। রাত ১২টা ২০ মিনিটে গুলশান থানার ওসি মাজহার বলেন, সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। এ ঘটনায় একজন পথচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু ওই পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকায় সামনের দিকে যেতে পারছেন না। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গুলি নিক্ষেপকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম রাত পৌনে ১টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ সদস্য আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করেছে। ডেড বডি স্পটে আছে। একই ঘটনায় এক পথচারীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে একটি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, গুলিবর্ষণকারীকে সোয়াটের মাধ্যমে নিরস্ত্র করা হয়েছে।