প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ৯:৫৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ৮, ২০২৪, ১২:৪১ পি.এম
হঠাৎ করেই একদিন
পথের ধারে কুড়িয়ে পেলাম
কিছু রঙিন কাগজ।
কাগজগুলো যত্নে করে রেখে দিলাম।
অদ্ভুত সে কাগজ থেকে রং ছড়াতো মনে,
কখনো নীন আকাশের মত সাদা মেঘময়,
কখনো গোধুলির আবির মাখা লালে লাল,
কখনো ঘোর অন্ধকার কালো মেঘের মত,
কখনো বড্ড বেশী নীল নীলিমায় আবৃত,
কখনো তারা ভরা আকাশের মত ঝিলমিল,
কখনো শ্রাবণের অঝোর ধারায় ধোঁয়া রং।
ক্রমান্বয়ে সেই রঙিন কাগজগুলো মোহময় হয়ে ওঠে,
তাদের নিয়ে আমি ভাবতে থাকি মোহাবিষ্টের মতো।
একদিন সেই কাগজগুলো
ভালোবাসায় নিকোনো উঠোনে মেলে ধরি,
এদিক ওদিক, এভাজ ও ভাজ করি,
বাহ চমৎকার একটা রঙিন ঘুড়ি হয়ে গেলো!
ঘুড়ি হাতে নিয়ে আমি আনন্দে আত্মহারা,
আমি যেনো আকাশে আকাশে উড়ি!
তারপর সেই ঘুড়ি উড়িয়ে দেই আকাশে
শঙ্খ চিলের সাথে নীল আকাশ দিতে পাড়ি।
ভালোবাসার নাটাই সূতো হাতে আমি,
দেখি আকাশ জুড়ে ঘুড়ির উড়াউড়ি।
ডানায় লাগিয়ে মৌসুমী সব হাওয়া,
উড়ে যায় আকাশের আরো গহীনে
ফিরার নাম নেই নিকোনো উঠোনে!
নয়া পালে লাগিয়ে নতুন হাওয়া,
উড়ে বেড়ায় সকাল দুপুর বিকেলে!
ভাবছি কেটে দিব সূতো!
উড়ে উড়ে একদিন মিটবে সাধ,
কোনো সূতোর টান থাকবে না,
দুমড়ে মুচড়ে পড়ে রবে কোথাও,
সূতো ছেঁড়া ঘুড়ি যেভাবে পড়ে থাকে।
সবারইতো একটা সীমা থাকা চাই,
সীমানা ছাড়িয়ে গেলে ফেরার পথ নাই!